সকাল
এক পশলা রোদ্দুর এসে ছিনিয়ে নেয় সকাল
ফলে ঘুম ঘুম চোখে কোনদিন সকাল দেখা হলো না!
প্রতিদিন ভাবি, কাঁচাবাজার থেকে সকাল কিনে আনবো;
কিন্তু হায়! প্রতিদিনই সকালগুলো দূরে আরো দূরে চলে যায়
তাদের বাড়িতে, যারা প্রতিদিন সকাল মাথায় করে পসরা সাজায়।
তাদের ঘরে কেবল ভোর ভোর চোখে মা আর মেয়েটি
সকাল মাথায় তোলে কর্তাটিকে গঞ্জের দিকে এগিয়ে দেয়।
ওই ঘরে খোঁড়া রোদ, বাজার ফেরত রুটিগুলো গিজগিজ করে।
ভৌগলিক
আকাশ ঘুমিয়ে থাকো, আমি থাকি পাহারায়।
পাছে চোখ দুটো ঘুমে টলে তাই ঘুমকে পাঠিয়ে দিই প্রিয় আঙিনায়
আমাদের ছোট ছোট গ্রাম ফেরি করে ঘুমের বাজার,
ঘুমায় নদীর শব, গানের পাখির মুখরিত স্বর;
পাশের বাড়ির কিচিরমিচির করা শিশুগুলো মূর্ছা যায়।
একাকী আকাশ তোমাকে ঘেষেই শুয়ে থাকে রাত,
তারা’রাই সে খবর ভালো জানে।
আকাশ ঘুমাও যদি... আমাদের ভৌগলিক সীমারেখাগুলি-
যারা শুধু বিভক্তির ইশারা পাঠায়- তারা সব ভেসে যাবে রাতের নিরবতায়।
উত্তর আকাশ এখন আমার কণ্ঠে জমে আছে মেঘ,
ঝড়ো হাওয়া আর একরাশ গলাডুবা অন্ধকার-
ও, তুমি ঘুমিয়ে থাকো, আমি আছি পাহারায়।
ছায়াবৃক্ষ ছায়ামানুষ
পৃথিবীর সমান বয়সী যে বৃক্ষটি
দাঁড়িয়ে আছে আমার বিপরীতে-
তাকে আমার জানা হয় না।
এরকম বৃক্ষদিনে প্রকৃতির কথা মনে পড়ে
আর শুধু কান্না পায়,
কেননা সে বৃক্ষটিকে কোনদিন জানা হলো না আমার।
এই যে দীনতা আর অপরাধবোধ
প্রভাবিত করে একদিন বৃক্ষ হয়ে যেতে।
দূরত্ব
গ্রামের কুয়াশা ভেঙে তুমি যাচ্ছো নিরন্তর।
দিগন্তের কাছাকাছি মাঠ পেরিয়ে গেলেই তোমার গ্রামের বাড়ি
তুমি তাই দিগন্তের ভাষা বোঝ, বোঝ মাঠে মাঠে ফসলের উর্বরতা।
বেলাভূমির ঘাসেদের মাড়িয়ে গিয়ে শিখেছি তোমার শীতলতা,
এখন মাইল মাইল দূরের দিকে...
হেঁটে যেতে যেতে তোমার ছবি দেখতে পাই।
তুমি চলে যাবে দূরে আর তাকিয়ে দেখবে-
তোমার গ্রামের মুখ ছুঁয়ে ওঠা ভোরের সে সূর্য;
নদীর বুকে চর জেগে উঠলে,
তুমি চলে যাবে দূরদেশে- বাণিজ্যের ধারণায়।
(...ভাঙনের প্রতিক্রিয়া...)
বৃক্ষ
একদিন বৃক্ষ হয়ে যাবো!
ঠাঁয় দাঁড়িয়েই হবে, সর্বময় বিস্তার আমার।
ডাল-পালা জুড়ে বসে যাবে অতিথি পাখির ঘর-
পাখিদের ঘর হবো, পাতাদের সাথে খেলা হবে বাতাসের;
সুদূরের কথার গুঞ্জন আমাকে ঘিরেই অনুস্মৃত হবে,
মেঘ চাইলে মেঘ, রোদ চাইলে রোদ।
পৃথিবীতে কত কত বৃক্ষমর্ম, বৃক্ষকথা রচিত হয়েছে!
এইসব বৃক্ষকথা, সকল প্রাণির মতো মানুষেরা-
জেনে গেছে; তাই আঙিনায় পদধ্বনি তার।
সকল ক্লান্তির শেষে আমাকেই বলে যাবে
পৃথিবীর যত যত কাহিনী ব্যঞ্জনা।
একদিন বৃক্ষ হয়ে যাবো...
ঠাঁয় দাঁড়িয়েই হবে সর্বময় বিস্তার আমার।
এক পশলা রোদ্দুর এসে ছিনিয়ে নেয় সকাল
ফলে ঘুম ঘুম চোখে কোনদিন সকাল দেখা হলো না!
প্রতিদিন ভাবি, কাঁচাবাজার থেকে সকাল কিনে আনবো;
কিন্তু হায়! প্রতিদিনই সকালগুলো দূরে আরো দূরে চলে যায়
তাদের বাড়িতে, যারা প্রতিদিন সকাল মাথায় করে পসরা সাজায়।
তাদের ঘরে কেবল ভোর ভোর চোখে মা আর মেয়েটি
সকাল মাথায় তোলে কর্তাটিকে গঞ্জের দিকে এগিয়ে দেয়।
ওই ঘরে খোঁড়া রোদ, বাজার ফেরত রুটিগুলো গিজগিজ করে।
ভৌগলিক
আকাশ ঘুমিয়ে থাকো, আমি থাকি পাহারায়।
পাছে চোখ দুটো ঘুমে টলে তাই ঘুমকে পাঠিয়ে দিই প্রিয় আঙিনায়
আমাদের ছোট ছোট গ্রাম ফেরি করে ঘুমের বাজার,
ঘুমায় নদীর শব, গানের পাখির মুখরিত স্বর;
পাশের বাড়ির কিচিরমিচির করা শিশুগুলো মূর্ছা যায়।
একাকী আকাশ তোমাকে ঘেষেই শুয়ে থাকে রাত,
তারা’রাই সে খবর ভালো জানে।
আকাশ ঘুমাও যদি... আমাদের ভৌগলিক সীমারেখাগুলি-
যারা শুধু বিভক্তির ইশারা পাঠায়- তারা সব ভেসে যাবে রাতের নিরবতায়।
উত্তর আকাশ এখন আমার কণ্ঠে জমে আছে মেঘ,
ঝড়ো হাওয়া আর একরাশ গলাডুবা অন্ধকার-
ও, তুমি ঘুমিয়ে থাকো, আমি আছি পাহারায়।
ছায়াবৃক্ষ ছায়ামানুষ
পৃথিবীর সমান বয়সী যে বৃক্ষটি
দাঁড়িয়ে আছে আমার বিপরীতে-
তাকে আমার জানা হয় না।
এরকম বৃক্ষদিনে প্রকৃতির কথা মনে পড়ে
আর শুধু কান্না পায়,
কেননা সে বৃক্ষটিকে কোনদিন জানা হলো না আমার।
এই যে দীনতা আর অপরাধবোধ
প্রভাবিত করে একদিন বৃক্ষ হয়ে যেতে।
দূরত্ব
গ্রামের কুয়াশা ভেঙে তুমি যাচ্ছো নিরন্তর।
দিগন্তের কাছাকাছি মাঠ পেরিয়ে গেলেই তোমার গ্রামের বাড়ি
তুমি তাই দিগন্তের ভাষা বোঝ, বোঝ মাঠে মাঠে ফসলের উর্বরতা।
বেলাভূমির ঘাসেদের মাড়িয়ে গিয়ে শিখেছি তোমার শীতলতা,
এখন মাইল মাইল দূরের দিকে...
হেঁটে যেতে যেতে তোমার ছবি দেখতে পাই।
তুমি চলে যাবে দূরে আর তাকিয়ে দেখবে-
তোমার গ্রামের মুখ ছুঁয়ে ওঠা ভোরের সে সূর্য;
নদীর বুকে চর জেগে উঠলে,
তুমি চলে যাবে দূরদেশে- বাণিজ্যের ধারণায়।
(...ভাঙনের প্রতিক্রিয়া...)
বৃক্ষ
একদিন বৃক্ষ হয়ে যাবো!
ঠাঁয় দাঁড়িয়েই হবে, সর্বময় বিস্তার আমার।
ডাল-পালা জুড়ে বসে যাবে অতিথি পাখির ঘর-
পাখিদের ঘর হবো, পাতাদের সাথে খেলা হবে বাতাসের;
সুদূরের কথার গুঞ্জন আমাকে ঘিরেই অনুস্মৃত হবে,
মেঘ চাইলে মেঘ, রোদ চাইলে রোদ।
পৃথিবীতে কত কত বৃক্ষমর্ম, বৃক্ষকথা রচিত হয়েছে!
এইসব বৃক্ষকথা, সকল প্রাণির মতো মানুষেরা-
জেনে গেছে; তাই আঙিনায় পদধ্বনি তার।
সকল ক্লান্তির শেষে আমাকেই বলে যাবে
পৃথিবীর যত যত কাহিনী ব্যঞ্জনা।
একদিন বৃক্ষ হয়ে যাবো...
ঠাঁয় দাঁড়িয়েই হবে সর্বময় বিস্তার আমার।
No comments:
Post a Comment